প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম দেশ ছেড়ে আমেরিকা পালিয়ে গেছেন। সপ্তাহখানেক আগেই তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে তার একজন স্বজন জানিয়েছেন।
সম্প্রতি সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজনে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার অবৈধ সম্পত্তির বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা দুর্নীতিবাজদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এজন্য নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাহাঙ্গীর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বলে ধারণা করছেন তার স্বজনরা।
চীন সফর শেষে গতকাল রোববার (১৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি নিজের বাসার সাবেক এক কর্মীর অর্থসম্পদের বিষয়ে বিস্ফোরক তথ্য দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাসায় কাজ করেছে, পিয়ন ছিল সে, এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। বাস্তব কথা। কী করে বানাল এত টাকা? জানতে পেরেছি, পরেই ব্যবস্থা নিয়েছি।’
এদিকে জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী কামরুন নাহারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সব ব্যাংকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
আমার বাসার পিয়ন, যে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক : প্রধানমন্ত্রী
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
এর আগে রোববার বিকেলে চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে দুর্নীতি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের বাসার সাবেক এক কর্মীর অর্থসম্পদের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাসায় কাজ করেছে, পিয়ন ছিল সে, এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। বাস্তব কথা। কী করে বানাল এত টাকা?’
জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন হিসেবে টানা দুই মেয়াদের পাশাপাশি গত মেয়াদেও কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় তাকে ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীর নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের নাহারখিল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এর আগে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।