অনান্য

পেট চালাতে রিক্সা চালাতেন!রাস্তায় থাকতেন,এক আইডিয়া বদলে দেয় জীবন,যুবক ৬০০ কোটির মালিক!

একজন মানুষের ভেতরের আবেগ এবং কঠোর পরিশ্রম জীবনের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিকে বদলে দিতে পারে। একজন দরিদ্র ব্যক্তিও মন থেকে ইচ্ছা করলে তার কঠোর পরিশ্রমের ভিত্তিতে কোম্পানির মালিক হতে পারে। এগুলো শুধু বইপুস্তক নয়, এরকম বহু উদাহরণ আমাদের সামনে এসেছে। বিহারের দিলখুশ কুমারও সেই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন যারা তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং আবেগের ভিত্তিতে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন।

একসময় রিক্সা চালাতেন

এটি দিলখুশ কুমারের গল্প, যিনি একবার দিল্লির রাস্তায় রিকশা চালাতেন। এটি ছিল তার কঠোর পরিশ্রম এবং সাহস যার কারণে তিনি আজ তার স্টার্টআপ কোম্পানি পরিচালনা করছেন। রিকশা চালানোর সময়, দিলখুশ কুমার রাজধানী পাটনা ক্যাব কোম্পানি খোলেন, যেটি তিনি আজ সফলভাবে চালাচ্ছেন। দিলখুশের সাফল্যের গল্প লক্ষ লক্ষ লোকের জন্য অনুপ্রেরণা যারা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন এবং স্বপ্ন দেখছেন কিন্তু তাদের পূরণের চেষ্টায় এগিয়ে যেতে পারছেন না

আজ দুই কোম্পানির মালিক

বিহারের সহরসা জেলার বনগাঁয়ের বাসিন্দা দিলখুশ কুমার এখন পর্যন্ত তার ক্যাব কোম্পানিতে 3200 টিরও বেশি যানবাহন যুক্ত করেছেন। তার লক্ষ্য ২০২৩ সালের মধ্যে তার কোম্পানিতে ২৫ হাজার গাড়ি যোগ করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারে জন্মগ্রহণকারী দিলখুশ কুমার শুধুমাত্র ইন্টারমিডিয়েট অর্থাৎ দ্বাদশ পর্যন্ত পড়তে পারেন। সে পবন খান নামের বাসচালকের ছেলে। পাড়ার লোকজন তাকে সব সময় বলত, ড্রাইভারের ছেলে ড্রাইভার হবে।

করতে চেয়েছিলেন পিওনের কাজ

একটা সময় ছিল যখন দারিদ্র্যপীড়িত দিলখুশের লক্ষ্য ছিল বেসরকারি স্কুলে পিয়ন হওয়া। এ জন্য তিনি চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু সফলতা পাননি। এরপর কর্মসংস্থানের সন্ধানে দিল্লি চলে যান। এখানে তিনি রিকশা চালানোর কাজ পান। কিন্তু এ সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় এ কাজ বেশিদিন করতে পারেননি। এমতাবস্থায় তিনি সহরসায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। সময়ের সাথে সাথে যখন তার স্বাস্থ্য ভালো হতে থাকে, তখন সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় যে তাকে এখন ভিন্ন কিছু করতে হবে।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *