চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলন দেখতে গিয়ে সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ফারুক (৩২) নামের এক যুবক। তিনি শুলকবহরে এসএস ফার্নিচার দোকানে কাজ করতেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন দেখতে এসে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মধ্যে বুকে গুলি লেগে প্রাণ হারান ফারুক। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ফারুকের বাবার নাম মো. দুলাল। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। তার ছেলের বয়স ৮ বছর আর মেয়ের বয়স ৫।
নিহত ফারুকের বাবা দুলাল ও স্ত্রী সীমা আক্তার জানান, লালখান এলাকায় বসবাস করলেও তাদের বাড়ি নোয়াখালীতে। ২৫ বছর ধরে চট্টগ্রামে থাকেন তারা। শুলকবহরে কর্মস্থলের বাইরে রাস্তায় এসে আন্দোলন দেখছিল সে। হঠাৎ গুলি এসে লাগে তার বুকে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত আরেকজন ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়ায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী। নিহত আর একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুজহাত ইনু জানান, দুইজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে ফারুক নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। ওয়াসিম আকরামের শরীরেও গুলির আঘাত রয়েছে বলে জানান তিনি। আর অপরজনের মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল।