অনান্য

হুবহু মানুষের কণ্ঠে কথা বললো শালিক পাখি

আদিকাল থেকেই বিভিন্ন প্রাণী মানুষের দাসত্ব গ্রহণ করে আসছে, মানুষ বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন বন্যপ্রাণীদের কে পোষ মানিয়ে নিয়েছে।তারি ধারাবাহিকতায় এখনো মানুষ বিভিন্ন বন্য প্রাণীকে শখের বশে পোষ মানিয়ে থাকে। যেমন শালিক, দিয়া, ময়না, কাকাতুয়া ইত্যাদি। এদের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে শালিক।

আমাদের দেশে শালিক প্রায় সর্বত্রই দেখা যায়। বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করে অর্থাৎ তাদের শৈশবকাল গ্রামে কেটেছে তারা শালিক সম্পর্কে খুব ভাল করেই জানে। শালিক পোষ মানাতে হলে তাকে বাচ্চা থেকে পালন করতে হবে। যখন শালিকটি মানুষের সাথে ছোটবেলা থেকে বড় হয় তখন তার মধ্যে আর বন্যা স্বভাবটি ধারণ হয় না।

শালিক শহরের বিভিন্ন পাখির দোকানেও দেখা যায়।তবে আনেক দাম দিয়ে তা কিনতে হয়। কিন্তু গ্রামে এগুলো দাম দিয়ে কিনতে হয় না। গ্রামে পাখির বাসা থেকে এগুলো সংগ্রহ করা হয়। এবং যারা গ্রামে পালন করে তারা বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করে। এবং এগুলো অনেক শক্তিশালীও হয়ে থাকে। কিন্তু শহরের বিভিন্ন পাখির দোকানে যে শালিক গুলো পাওয়া যায় এগুলোকে বিভিন্ন কৃত্রিম খাবার খাইয়ে বড় করে।

কিছুদিন আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় একটি শালিক বিভিন্ন কথা বলে মানুষকে বিনোদন দিচ্ছে। শালিকের মত আরো অনেক পাখি আছে যারা পোষ মানে এবং এক সময় কথাও বলতে পারে।যেমন: টিয়া, ময়না, কাকাতুয়া। এরা মানুষের আশেপাশে থাকতে থাকতে এক সময় মানুষের চালচলন ও কথা বার্তা রপ্ত করতে শুরু করে।

বর্তমানে পৃথিবীতে পোষা প্রাণী চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে পোষা প্রাণী গুলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশের চাইতে বহির্বিশ্বের এই পোষা প্রাণী এগুলোর চাহিদা আরো অনেক বেশি। এবং সেখানে এর দামও অনেক বেশি। অন্যান্য পাখিগুলো সচরাচর না পাওয়া গেলেও শালিক কিন্তু আমাদের দেশে সচরাচর সব জায়গাতেই মিলে। এবং এই শালিক পাখি পালন করাও খুব সহজ। শালিক পালন করতে বাড়তি খরচ কম লাগে কেননা সচরাচর আমরা যা খাই শালীকেও কিন্তু তা খাওয়ানো যায়। তবে প্রথম প্রথম সকল ধরনের খাবার খাওয়ানো যাবে না, তাকে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করে নিতে হবে।

 

ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে শালিক পাখিটি বিভিন্ন কথা বলার চেষ্টা করছে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি দেখিয়ে সবাইকে বিনোদন দিচ্ছে। পোষ মানা শালিক বাড়িতে মুক্ত ভাবে বসবাস করতে পারে। কেননা তাকে ছেড়ে দিলে সে ঘুরেফিরে বাড়িতে চলে আসবে। এক সময় মনে হবে শালিক টি যেন পরিবারের একজন সদস্য।

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *